নিজস্ব প্রতিবেদক
এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন বিতর্কে এসেছেন নবীন রাজনৈতিক নেতা সার্জিস আলম। ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ছবিতে তাকে একটি দামি পাঞ্জাবি পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়, যা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
ছবিটিতে সার্জিস আলমকে একটি নামি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের পাঞ্জাবি পরে দেখা যায়, যার বাজারমূল্য প্রায় ১০ হাজার টাকা বলে জানা গেছে। এর আগেও একই ব্রান্ডের দামি পাঞ্জাবি দেখা গেছে তার গায়ে । বিষয়টি ঘিরে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই—রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে যিনি এখনো কোনো পেশাগত কর্মসংস্থানে যুক্ত নন, তিনি কীভাবে এমন দামি পোশাক পরেন?
এ নিয়ে ফেসবুক এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ সার্জিস আলমের বিলাসবহুল জীবনযাত্রার পেছনে ‘অজানা’ অর্থনৈতিক উৎসের প্রশ্ন তুলেছেন।
এ প্রসঙ্গে এক তরুণ রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, “রাজনীতি একটি জনসেবার মাধ্যম হলেও, এখন অনেক ক্ষেত্রেই তা বিলাসবহুল জীবনের প্রতীক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। নতুন প্রজন্মের নেতারা যদি শুরুতেই এমন বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন, তা রাজনৈতিক স্বচ্ছতার প্রশ্ন তোলে।”
এটি প্রথমবার নয় যে সার্জিস আলম বিতর্কে জড়ালেন। এর আগেও তাকে ঘিরে বিলাসবহুল গাড়িবহর ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়াও, সামাজিক মাধ্যমে কিছু ব্যবহারকারী দাবি করছেন, কিছুদিন আগেও সার্জিস আলম ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এবং অর্থ সাশ্রয়ের জন্যে সাধারণ পোশাকেই অভ্যস্ত ছিলেন। তাই চাকরি বা ব্যবসা ছাড়াই হঠাৎ করে তার এমন ব্যয়বহুল পোশাক পরিধান জনমনে সন্দেহ তৈরি করছে।
অবশ্য সার্জিস আলমের ঘনিষ্ঠরা বলছেন, এটি অহেতুক বিতর্ক। তাদের দাবি, সার্জিস আলম ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত রুচিশীল এবং নিজের পোশাক-আশাকের ব্যাপারে সবসময় যত্নশীল। পাঞ্জাবিটি তিনি উপহার হিসেবেও পেতে পারেন কিংবা তার পারিবারিক সামর্থ্য থেকেও কিনতে পারেন ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনীতিতে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু সার্জিস আলম এখন রাজনীতির ময়দানে সক্রিয়, তাই তার জীবনযাত্রা এবং ব্যয়বহুলতা জনস্বার্থের অংশ হিসেবে গণ্য হতে পারে। তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয়তা থাকলেও, এই ধরনের বিতর্ক তার ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মত অনেকের।
এদিকে, এনসিপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এ বিষয়ে এখনো মুখ খোলেনি। দলের ভেতরে বাইরে আলোচনা চলছে—এই ধরনের ব্যক্তিগত বিতর্ক দলীয় ইমেজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কিনা। বিশেষ করে তরুণ নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে যখন নানা প্রশ্ন উঠছে, তখন এই বিতর্ক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে নানা ধরনের মন্তব্য ও ব্যঙ্গচিত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি একটি অতি সাধারণ ইস্যু নিয়ে অকারণ হৈচৈ, আবার কেউ কেউ একে দেখছেন তরুণ রাজনীতিকদের লাইফস্টাইল ও দায়বদ্ধতা নিয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন হিসেবে।
এ অবস্থায়, এই সংক্রান্ত একটি পোষ্টের কমেন্টে সারজিস আলম মন্তব্য করে জানান, খুব জ্বালায় আছি ভাই!
নতুন মেয়ের জামাই হিসেবে ঈদে গিফট নিতে অস্বীকৃতি জানালে শশুর-শাশুড়ি মাইন্ড করে। গিফট নেওয়ার পর সেগুলো না পড়লে তাদের মন খারাপ হয়। আবার ভুলক্রমে এক দুইদিন পড়ে ফেললে আপনাদের মন খারাপ হয়।
সর্ব সংকট যাকে বলে !