শেখ হাসিনার পরিবারসহ ১০ গ্রুপের তদন্ত দ্রুত শেষ করার তাগিদ

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:২৩ অপরাহ্ণ
প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:২৩ অপরাহ্ণ

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবার ও ১০ শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত দলগুলোকে কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। 

জানা যায় ১০ শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, প্রতারণা, জালিয়াতি, মুদ্রা পাচার, কর ও শুল্ক ফাঁকি এবং অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য সম্প্রতি ১১টি যৌথ অনুসন্ধান ও তদন্ত দল পুনর্গঠন করা হয়েছে। এসব দল আলাদা আলাদা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তদন্ত করবে। আগামী সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এসব দল অফিস শুরু করবে এবং তাদের জন্য আলাদা স্থান বরাদ্দ করা হয়েছে।

গতকাল তিনি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সমন্বয়ে গঠিত টিমগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে গভর্নর এসব টিমকে সমন্বিতভাবে তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

তদন্তের আওতায় আসা ১০ শিল্পগোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে- সাইফুজ্জামান চৌধুরী (আরামিট গ্রুপ), এস আলম গ্রুপ, বেক্সিমকো, নাসা, সিকদার, বসুন্ধরা, সামিট, ওরিয়ন, জেমকন ও নাবিল গ্রুপ। এসব গ্রুপের মালিক, স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান?ও তদন্তের আওতায় থাকবে বলে জানা গেছে। এছাড়া সম্প্রতি মন্ত্রিত্ব হারানো ব্রিটিশ নাগরিক টিউলিপ সিদ্দিকের বিষয়েও গুরুত্ব দিচ্ছে তদন্ত দল। শেখ হাসিনার পরিবারের সঙ্গে তার সম্পর্কিত দুর্নীতি, অর্থ পাচার, ঘুষ বাণিজ্য এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করবে দলটি।

বৈঠকে গভর্নর জানান, তিনি তদন্ত কমিটিগুলোর অগ্রগতি দেখে সন্তুষ্ট। তবে তথ্য আদান-প্রদানে জটিলতা দূর করে এবং প্রক্রিয়াটি দ্রুত শেষ করার জন্য একত্রে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বিএফআইইউর দেওয়া রেকর্ডের প্রশংসা করে গভর্নর আরও বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ হাসিনার পরিবার ও ১০ গ্রুপের অনুসন্ধান গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত শেষ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর প্রধান এএফএম শাহিনুল ইসলাম, উপপ্রধান একেএম এহসান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরী ও কবির হোসেন।