দ্য পলিটিশিয়ান ডেস্ক:
১৯৫৯ সালের ১ জানুয়ারি, কিউবায় ইতিহাস বদলে যাওয়ার একটি দিন। ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বে বিপ্লবীরা দীর্ঘ আট বছরের সশস্ত্র সংগ্রামের পর প্রেসিডেন্ট ফুলহেনসিও বাতিস্তার দমনমূলক সরকারকে উৎখাত করে। কাস্ত্রোর গেরিলা বাহিনী, “২৬শে জুলাই আন্দোলন,” হাভানায় প্রবেশ করলে বাতিস্তা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রে আশ্রয় নেন।
এই বিপ্লব কিউবায় সমাজতান্ত্রিক শাসনের সূচনা করে। ফিদেল কাস্ত্রো কিউবাকে একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার উদ্যোগ নেন, যা বিশ্ব রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। এটি কিউবার জনগণের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। ভূমি সংস্কার, শিক্ষার প্রসার, এবং সবার জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবার মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। তবে একই সঙ্গে বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও উঠতে থাকে।
কিউবা বিপ্লবের ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবার মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি ঘটে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখেও কিউবা সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়। এই সম্পর্কই ১৯৬২ সালের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের মতো বৈশ্বিক উত্তেজনার জন্ম দেয়।
কাস্ত্রোর নেতৃত্বে কিউবার এই বিপ্লব লাতিন আমেরিকা ও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনে অনুপ্রেরণা জোগায়। তবে সমালোচকরা একে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা এবং গণতন্ত্রবিরোধী বলেও আখ্যা দেন।
(সূত্র: ঐতিহাসিক দলিলপত্র এবং আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষণ)