জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন চিত্র ফুটে উঠছে।অধিকাংশ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এবার সরকার গঠন করতে পারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। মাঠে নেই আওয়ামী লীগ, এবং দলটির বর্তমান নিষ্ক্রিয়তা ও বিতর্কিত ভূমিকার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে দলটির প্রতি রয়েছে ব্যাপক অসন্তোষ। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিও রয়েছে রাজনীতিতে, যদিও বর্তমানে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে নির্বাচনে দলটির অংশগ্রহণ এখন প্রায় নিশ্চিত।
এই প্রেক্ষাপটে বিএনপির সামনে যেমন সরকার গঠনের সম্ভাবনা জেগেছে, তেমনি সংসদে কার্যকর বিরোধী দল গঠনের প্রশ্নেও নতুন করে আলোচনার সূচনা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, একটি কার্যকর সংসদীয় ব্যবস্থা গড়ে তুলতে শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এ ক্ষেত্রে ছোট ছোট রাজনৈতিক দল, জামায়াতে ইসলামী এবং এনসিপি মিলে যদি বিরোধী দল গঠন করতে সক্ষম হয়, তবে জাতীয় সংসদ কার্যকর হয়ে উঠতে পারে।
তবে এক্ষেত্র রয়েছে চ্যালেঞ্জ। এককভাবে নির্বাচন করে সংসদের জিতে আসার মত পরিস্থিতি জামায়াতের কয়েকটি আসন ছাড়া অন্যদের কোথাও নেই। এমন অবস্থায় ছোট দলগুলোকে যদি বিএনপির সাপোর্ট দিয়ে জিতিয়ে নিয়ে আসে তাহলে দেখা দিবে প্রশ্ন।
জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সাম্প্রতিক সময়ের নানা রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও কৌশলগত মতপার্থক্যের কারণে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এছাড়া একই কারণে এনসিপি সাথেও মতানৈক্যের উপস্থিতি স্পষ্ট।
এদিকে বিভিন্ন ছোট দলও বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী। আবার দীর্ঘদিন যুগপৎ আন্দোলনে শরিক থাকায় এসব দলকে না বলতেও পারছে না বিএনপি।
এমন অবস্থায় নির্বাচনী কৌশল ঠিক করতে কিছুটা বেগ পেতে হতে পারে বিএনপিকে।নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই পরিষ্কার হচ্ছে—রাজনীতির মানচিত্রে বড় পরিবর্তনের মুখে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ। সরকার ও বিরোধী দল গঠনে নতুন সমীকরণ দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ কোন পথে এগোবে, সে প্রশ্ন এখন সবার সামনে।
