শুক্রবার লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটি বৈঠকে মিলিত হন। সেই বৈঠকে তারা দুজন আগামী নির্বাচন রমজানের আগে করা যেতে পারে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বহুল আলোচিত এই বৈঠকটি সম্পূর্ণ হওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি নিয়েই চলছে নানান আলোচনা। । এ বিষয়ে কে কি বললেন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায়, সেটিই থাকছে আজকে আমাদের এই আয়োজনে। রাজনৈতিক অঙ্গনের নানা নিতে তথ্য পেতে সাবস্ক্রাইব করে বেল বাটনটি প্রেস করে রাখুন।
জনপ্রিয় লেখক ফাহাম আব্দুস সালাম লিখেন, ইউনুস সাহেব ও তারেক সাহেবের মিটিং এর কিছু ভিডিয়ো দেখলাম। বাংলাদেশে ভদ্রতা-সভ্যতা হারিয়ে গিয়েছিলো। শুধু ছিলো চাটুকারিতা। অসভ্য তেলবাজি আর হে পিতা। দুইটা সভ্য মানুষ দেশের মানুষের সমস্যা সমাধান করার জন্য বসে নেগোশিয়েট করছে – এই জিনিসটা ১০ মাস আগে অকল্পনী…
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ফেব্রুয়ারি মাস একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। ভাষার মাস হিসেবে জাতির হৃদয়ে এর আবেগগত গুরুত্ব থাকলেও রাজনৈতিক পরিসরে এই মাসটি বয়ে এনেছে নানা নাটকীয় মোড়। বিশেষত, বিএনপি’র ইতিহাসে ফেব্রুয়ারি যেন এক ‘ভাগ্যবান মাস’।
১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি। দীর্ঘদিনের স্বৈরাচারী এরশাদের সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আশায় অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সে নির্বাচনের মাধ্যমেই প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দলটি গঠন করে সরকার এবং শুরু হয় একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়।
পরবর্তীতে ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি বিপুল বিজয় লাভ করলেও তা অনুষ্ঠিত হয়েছিল অক্টোবর মাসে। তবে ১৯৯১ সালের সেই ফেব্রুয়ারির স্মৃতি এখনো দলটির জন্য এক ‘আবেগের ঠিকানা’।
বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ফের ফেব্রুয়ারির নাম উঠে আসছে। ২০২৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়েই চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে হিসাব-নিকাশ। যদিও নির্বাচন কমিশন এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি, তবে সংশ্লিষ্ট মহলে জোর গুঞ্জন—আগামী নির্বাচন হতে পারে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা এবং তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক হওয়ার পর।
এই সম্ভাবনা ঘিরে উজ্জীবিত বিএনপি নেতাকর্মীরা। তাঁরা মনে করছেন, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির পথ খুলে যেতে পারে এই ফেব্রুয়ারিতেই। বিএনপি নেতাদের মতে, “১৯৯১ সালে যেমন জনগণের রায়ে গণতন্ত্রের সূচনা হয়েছিল, তেমনি ২০২৬ সালেও জনগণ আবার রায় দেবে পরিবর্তনের পক্ষে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, “ফেব্রুয়ারি বিএনপির জন্য প্রতীকী গুরুত্ব রাখলেও, নির্বাচনের ফল নির্ভর করবে মাঠের বাস্তবতা, জনমত এবং রাজনৈতিক কৌশলের ওপর।”
তবে এক বিষয় নিশ্চিত—ফেব্রুয়ারি যদি হয় নির্বাচনমাস, তাহলে তা হবে কেবল একটি মাস নয়, একটি স্মৃতি, একটি প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা এবং রাজনৈতিক উত্তাপের কেন্দ্রবিন্দু।
প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে এপ্রিল মাসে নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হলেও এই নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে বিএনপি সহ নানান মহল।
কারণ ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে রমজান মাস থাকাই এবং এই সময় তাপদাহের আসংখ্যা থাকায় শুরু থেকেই এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে বিএনপি। তবে এই বিষয়ে একটি সমঝোতার আলো দেখা গেল লন্ডনে।