দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে ১ম গ্র্যান্ড মাস্টার খেতাবধারী হবার বিরল কৃতিত্ব অজর্নকারী বাংলাদেশের জনপ্রিয় ও সুপরিচিত দাবাড়ু নিয়াজ মোরশেদ সম্প্রতি একটি গনমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাতকারে তুলে ধুরেছেন তার সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্কুল জী্বনের একটি স্মৃতিচারণ ।
তিনি সেই গনমাধ্যমকে বলেন,১৯৭৮ সালে মোহাম্মদ আলী ঢাকায় আসেন, ১২ বছর বয়সে তাঁর সঙ্গে হ্যান্ডশেক করার স্মৃতিটা বেশ স্মরণীয়। স্কুলে অনেক স্মৃতি আছে। ভালো ছাত্র ছিলাম। স্কুলে আমার প্রিয় বিষয় ছিল বাংলা। ঢাকার সেন্ট যোসেফ স্কুলে ফণীন্দ্র বণিক নামে আমাদের এক শিক্ষক ছিলেন। উনি একটা ক্লাস টেস্ট নেন। রামায়ণ ও মহাভারতের ওপর কারক এবং বিভক্তি। আগেই বলে দেন ‘তোমরা কেউ ৫-এর বেশি পাবা না, এটা আমার চ্যালেঞ্জ’। বাকি সবাই ৫-এর কম পেলেও আমি দশে দশ পাই।
তখন সম্ভবত নবম বা দশম শ্রেণিতে পড়ি, ঘটনাটি ছোট হলেও আমার মনে তা আত্মবিশ্বাস তৈরি করে। স্কুলজীবনেই আরেকটি ঘটনা আছে, সেটা কি বলব?১৯৭৯ সালে জাতীয় দাবায় আমি প্রথম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর স্কুলে একদিন ছুটি দেওয়া হয়। স্কুলের বাস্কেটবল দলও সে সময় চ্যাম্পিয়ন হয় এক টুর্নামেন্টে। বাস্কেটবল টিম আর আমাকে ডাকে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সে সময় ক্লাস সেভেনে পড়ি।
তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক রহমান এইটে পড়েন। মনে আছে, তারেক ভাই তখন আমাকে একটা বার্গার খাওয়ান। দাম ছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা।নিয়াজ মোরশেদ ১৯৭৯ সালে প্রথম কোন আন্তর্জাতিক দাবা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে রেটিং অর্জন করেন।
তিনি ১৯৮১ সালে আন্তর্জার্তিক মাস্টার এবং ১৯৮৭ সালে গ্র্যান্ড মাস্টারের খেতাব অর্জন করেন।দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে প্রথম গ্র্যান্ড মাস্টার খেতাবধারী হবার বিরল কৃতিত্বের অধিকারী। তিনি ১৯৭৯ হতে ২০১৯ পর্যন্ত ছয় বার বাংলাদেশের জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা বিজয়ী। ক্রীড়াক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারে ভূষিত হন।