নাহিদ ইসলামের পদত্যাগ, নতুন দলের নেতৃত্বে আসছেন!

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০২:৩০ অপরাহ্ণ
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০২:৩০ অপরাহ্ণ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র নেতাদের উদ্যোগে একটি নতুন রাজনৈতিক দল আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি। রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে বিকেল ৩টায় এক আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মধ্য দিয়ে দলটির যাত্রা শুরু হবে।

প্রাথমিক কাঠামো ও নেতৃত্ব

নতুন দলটির কেন্দ্রীয় কমিটিতে প্রাথমিকভাবে ১০০ থেকে ১৫০ জন সদস্য থাকবেন। শীর্ষ নেতৃত্বে থাকছে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ পদ, যার মধ্যে আহ্বায়কের দায়িত্বে থাকবেন নাহিদ ইসলাম। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা ৩০০ থেকে ৫০০ জনে উন্নীত করা হতে পারে।

দল ঘোষণার পরপরই জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী কাঠামো নির্ধারণের জন্য কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে, তবে তা হতে দুই বছর সময় লাগতে পারে। সে পর্যন্ত আহ্বায়ক কমিটিই দলের নেতৃত্ব দেবে এবং জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবে।

নাহিদ ইসলামের পদত্যাগ

দলের সম্ভাব্য আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে তথ্য উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। কয়েক দিন ধরেই তার পদত্যাগ নিয়ে আলোচনা চলছিল, যা অবশেষে নিশ্চিত হলো।

নাম ও প্রতীক নিয়ে আলোচনা

দলটির সম্ভাব্য নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। এতে ‘নাগরিক’, ‘ছাত্রজনতা’ বা ‘রেভ্যুলেশন’-এর মতো শব্দ থাকতে পারে। যদিও দলীয় প্রতীক এখনো চূড়ান্ত হয়নি, তবে কলম ও শাপলা প্রতীক আলোচনায় রয়েছে।

শীর্ষ নেতৃত্ব ও অভ্যন্তরীণ সমঝোতা

দলের শীর্ষ পদ নিয়ে কিছুটা মতবিরোধ থাকলেও শেষ মুহূর্তে সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম শীর্ষ নেতৃত্বে থাকবেন বলে জানা গেছে। তবে শীর্ষ তালিকায় কোনো নারী নেতার নাম নেই।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও নির্বাচনমুখী প্রস্তুতি

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সম্ভাবনা মাথায় রেখে দলটি দ্রুত সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করবে। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে সক্রিয় কর্মীদের নতুন দলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ফলে দলটির প্রাথমিক লক্ষ্য থাকবে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে সুসংহত করা।

মধ্যপন্থী রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা নতুন এই দল জাতীয় রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে আসা এ দলটি যে নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে, তা ইতোমধ্যেই স্পষ্ট।