১২ ফেব্রুয়ারি গোপন বন্দিশালা “ আয়নাঘর “ পরিদর্শনে যান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার সকালে প্রধান উপদেষ্টার সাথে ঢাকার আগারগাঁও, কচুক্ষেত ও উত্তরায় তিনটি গোপন বন্দিশালা পরিদর্শন করেন ছয়জন উপদেষ্টা, গুম কমিশনের প্রধানসহ পাঁচজন এবং গুমের শিকার আটজন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিদেশী গনমাধ্যমে কাজ করা বেশ কিছু সংবাদ কর্মী ।
আলোচিত এই স্থানে যাওয়ার আমন্ত্রণ পায়নি দেশীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। গুমের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসা অনেকেই বাদ পড়েছেন। যা নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। দেশীয় সংবাদমাধ্যমকে না নেওয়ার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, গোপন বন্দিশালাগুলোর (আয়নাঘর নামে পরিচিত) কক্ষ ছোট এবং হাঁটার জায়গা অনেক সরু বলে সেখানে সবাইকে নিয়ে যাওয়া কঠিন।
ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, এর আগে বলা হয়েছিল, দেশি-বিদেশি সাংবাদিকসহ প্রধান উপদেষ্টা আয়নাঘর পরিদর্শন করবেন। দেশি-বিদেশি মিডিয়ার কারা গিয়েছিলেন ?
জবাবে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, তাঁরা যে জায়গাগুলোতে গিয়েছেন, সেগুলোর ছবি দেওয়া হয়েছে। খুবই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কক্ষ, কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে ইট ভেঙে যাতায়াতের পথ তৈরি করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি ‘লজিস্টিক্যালি’ চ্যালেঞ্জিং ছিল। সে জন্য বিটিভি থেকে ক্যামেরাম্যান, পিআইডি থেকে ফটোগ্রাফার নেওয়া হয়েছে। আর প্রেস উইংয়ের একজন ফটোগ্রাফার ছিলেন।
সব সাংবাদিক নিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করে শফিকুল আলম বলেন, এ ছাড়া বাইরে থেকে নেওয়া হয়েছে আল–জাজিরা ও নেত্র নিউজ। নেত্র নিউজ বাংলাদেশ ফোকাসড (কেন্দ্রিক) একটি ওয়েবসাইট। তারা আয়নাঘরের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। আরেকজন সাংবাদিকও ছিলেন। এর বাইরে নিতে পারেননি, ‘লজিস্টিক্যালি চ্যালেঞ্জিং’ ছিল।