ফাহাম আব্দুস সালাম ।।।
৪টা প্রদেশ আইডিয়াটা ঠিক কিন্তু আমরা মিনিমাম ৮-১০ বছর পিছিয়ে আছি।
একটা বিউরোক্রিসিই চালাতে পারতিছি না। ৪ টা এক্সট্রা বিউরোক্রিসি কীভাবে চলবে – কেউ জানে না। এই কাজ কেউ যদি এখন করে – নিশ্চিতভাবে এটা একটা ক্লাস্টার ফাক হবে। প্রশাসনে এখন যেই স্থবিরতা ও মেস আছে সেটা ৪ গুন হবে।
আগামী সরকারের উচিত হবে জমি সংক্রান্ত মামলা-মোকদ্দমা ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকাণ্ডের বিকেন্দ্রীকরণ করা – এই লক্ষ্য নিয়ে যে এই বিকেন্দ্রীকৃত অফিস ও কর্মবল লোকাল গভমেন্টে আত্মীকৃত হবে।
আমরা যদি ৭-৮ বছরে এই দুইটা সার্ভিসকে সার্থকভাবে ডিসেন্ট্রালাইজ করতে পারি – এর পরে পরিপূর্ণ লোকাল গভমেন্ট করলে সেটা কিছু করতে পারবে।
এখন যদি লোকাল গভমেন্ট করতে চাই – সেন্ট্রাল গভমেন্ট কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজই ”ছাড়বে” না এবং দুই গভমেন্টের যুদ্ধে গোমাসা হবে সাধারণ মানুষের। দুই জায়গায় ঘুষ দিতে হবে।
আসল প্রশ্ন: প্রদেশের প্রশাসনিক কাজের খরচ দেবে কে?
জনগণ কি লোকাল গভমেন্টকে ট্যাক্স দেবে?
লোকাল গভমেন্টের টাকা কে দেবে – এই প্রশ্নের উত্তর পুঙ্খানুপুঙ্খ না জেনে কোনো সরকার যদি এই কাজে নামে – নিশ্চিতভাবে – এইটা হবে পলিটিকাল হারিকিরি।
আপনার কি মনে হয় – সেন্ট্রালে বিএনপি এবং লোকালে জামাত সরকার থাকলে সেন্ট্রাল গভমেন্ট মুখের কথায় ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড় দেবে?
আগে লোকাল গভমেন্টের মূল ২-৩টা ফাংশান স্থানীয় পর্যায়ে নিয়ে যান। এমপিদের ক্ষমতা ও প্রভাব কমান। হুট করে লোকাল গভমেন্ট করার মতো আত্মঘাতী কাজ আর হবে না।
ফেসবুক থেকে ।।।