নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
সম্প্রতি বিবিসি বাংলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের একটি সাক্ষাতকার প্রচার করা হয় । ইউটিউবে ২ পর্বের পাশাপাশি ওয়েবেও সাক্ষাতকারটি প্রকাশ হয় । বিবিসি বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বিবিসি বাংলার সম্পাদক মীর সাব্বির ।
বিবিসি বাংলায় সাক্ষাৎকারটি প্রকাশের পরই তা একে একে দেশের প্রায় সব গনমাধ্যম তাদের ওয়েবে সাক্ষাৎকারের বিশেষ অংশগুলো প্রচার করতে থাকে । দীর্ঘ এই সাক্ষাৎকারের মধ্যে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যদি অন্তর্বর্তী সরকার পূর্ণ নিরপেক্ষতা পালন করে, তাহলেই তারা নির্বাচন কন্ডাক্ট (পরিচালনা) করা পর্যন্ত থাকবে। তা না হলে তো নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে।’
আর এই বক্ত্যবের কারণেই বিএনপি মহাসচিব ও বিএনপির প্রতি চটে গেছেন উপদেষ্টাসহ সমন্বয়করা ।
এর জবাবে, নিজের ফেসবুকে কড়া জবাব দেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মূলত আরেকটা ১/১১ সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ। তিনি বলেছেন, এমন কোনো পরিকল্পনা গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে এবং ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। এমন কিছুর চিন্তা হলে সেটা বিএনপি’র বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র মনে করেন সরকারের এই উপদেষ্টা।
বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্যের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান। তার এই পোস্ট নিজের ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করেন আরেক তরুণ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। তাতে তিনি ক্যাপসন লিখেন, প্রফেশনালিজম রক্ষার্থে সরকারে থেকে আরও অনেক কিছুই বলতে পারি না। তবে জনগণকে অন্ধকারে রাখাটাও অনুচিত। পরে অন্য এক পোস্টে আসিফ বলেন, উপদেষ্টাদের কেউ রাজনীতি করলে পদ ছেড়েই করবেন।
প্রতিক্রিয়া জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ অন্য সমন্বয়করাও।
এদিকে তাদের এই প্রতিক্রিয়ার পাল্টা জবাব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিতে দেখা গেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের কেও ।