ভালো মানুষ খুঁজছেন তারেক রহমান !

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৯ পূর্বাহ্ণ
প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:৫৯ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

বিন্দু পরিমাণ বিতর্কেও যাতে বিএনপিকে পড়তে না হয় তাদের নেতাকর্মীদের কারণে তাই এবিষয়ে ব্যাপক সতর্ক রয়েছে দলটি। এই কারণে গত ৫ আগস্টের পর থেকে দলের কারো বিরুদ্ধে প্রশ্ন কিংবা বিতর্ক দেখা দিলেই হার্ডলাইনে যেতে দেখা যাচ্ছে দলটিকে ।

তবুও প্রতি সপ্তাহেই দেশের কোনো না কোনো স্থানে দলটির কারো না কারো না বিরুদ্ধে নেতিবাচক সংবাদ উঠে আসছে গনমাধ্যমে । আর সেগুলো ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বিএনপি বিরোধী মহল। নতুন দিনের রাজনীতিতে আর এসব দৃশ্য এবং সংস্কৃতি দেখতে চায় না বিএনপির শীর্ষ মহল । ফলে দলের জন্য এমন নেতাকর্মীদের চাইছে বিএনপি যাদের দিয়ে সামনে সুষ্ঠ এবং ইতিবাচক রাজনীতি করা যায় ।

তারই জন্যই সম্প্রতি বিএনপির সদস্য নবায়ন কর্মসূচিতে দেওয়া এক বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের ভালো মানুষ দরকার। কারণ, এই রাষ্ট্রকে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার ধ্বংস করে দিয়েছে, অনেক পেছনে নিয়ে গেছে। কাজেই আমাদের দলকে যদি পুনর্গঠিত করতে হয়, সে রকম মানুষ দরকার। সে রকম মানুষকে বের করে নিয়ে আসতে হবে।’

সেদিন, ১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণের সমর্থন পাওয়ার পর দেশ পুনর্গঠন করতে হবে। দেশকে পুনর্গঠন করার জন্য আমরা ৩১ দফা দেশের সামনে দেশের মানুষের সামনে উপস্থাপন করেছি। সেটি যদি বাস্তবায়ন করতে হয়, অবশ্যই মেধাবী, পরিশ্রমী, সৎ মানুষগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।’

সেদিন একই অনুষ্ঠানে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতা-কর্মীদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা আমরা কেন জানি না রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। গতকাল আমাদের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী পালন করা হলো, এখানে আমাদের কর্মীরা যাঁরা আসেন সাধারণত ভাইদের পেছনে আসেন, এসে সেই ভাইদের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। তারপর স্লোগান দেন পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ। এটা রাজনীতি না, এটা রাজনীতি হতে পারে না।’

তিনি বলেন, এখন রাজনীতিতে যে প্রতিযোগিতা চলছে, এটি কিন্তু স্লোগান দেওয়ার প্রতিযোগিতা নয়। এখন কিন্তু মেধা এবং বুদ্ধির প্রতিযোগিতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কে কেমন লিখতে পারেন, কে কেমন কথা বলতে পারেন, তার প্রতিযোগিতা চলছে। এ বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে। শুধু স্লোগান দিয়ে সামনের যুদ্ধ জয় করতে পারবো না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেখুন রাজনৈতিক কর্মীর মুখ থেকে এ ধরনের স্লোগান আসা উচিত নয় এবং রাজনীতি কতটা দেউলিয়াপনা হতে পারে, সেটা বোঝা যায়। আমাদের এক জায়গায় চরম দৈন্য আছে, এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা উচিত।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব (তারেক রহমান) উদ্যোগ নেবেন, এখন প্রতিটি উপজেলা এবং জেলায় রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। বিএনপিকে আদর্শ দলে পরিণত করতে হবে, মেধার নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুধু স্লোগান দিয়ে আমরা সামনের যুদ্ধ জয় করতে পারব না।’

বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমান তার বাবার গড়া দল বিএনপিকে এমন জনশক্তিতে দিয়ে সাজাতে চান, যারা অতীতে কখনও কোনো বির্তকের মধ্যে ছিলেন না এবং ভবিষ্যতেও বির্তকে জড়াবেন না । যাদের দেখে রাজনীতি বিমুখ সাধারণ মানুষও বিএনপির প্রতি আকৃষ্ট হয় ।

পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, এবার তারেক রহমান নতুন মাত্রার সুষ্ঠ রাজনীতি করতে চান । এজন্যই ওনার (তারেক রহমানের) এমন সহকর্মী ও সহযোদ্ধা প্রয়োজন যাদের দক্ষতা, রুচিশীলতা,সততা এবং গ্রহণযোগত্যা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠবে না ।

এরই ফলশ্রুতিতে, দেখা গেছে সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির দলীয় ও বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকান্ডে নতুন নতুন মুখকে সম্পৃক্ত হতে। এক্ষেত্রে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের তরুন সন্তানদের পাশাপাশি যারা আগে সরাসরি রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন না এমন মুখকেও দেখা যাচ্ছে এবং সামনে এর পরিমাণটা আরোও বাড়বে বলে জানা গেছে ।

দেশের বাইরে অবস্থান করা একাধিক মেধাবী ও দক্ষ তরুণকে ইতোমধ্যেই দেশে গিয়ে কাজ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন তারেক রহমান । এর মধ্যে কয়েকজন ইতোমধ্যেই দেশে এসে কাজে লেগে পড়েছেন এবং উল্লেখসংখ্যক তরুন দেশে আসার প্রস্তুতি নিতে শুরু করছেন । যারা সবাই দেশের বাইরে স্ব স্ব ক্ষেত্রে সু প্রতিষ্ঠিত ।

Don't Miss

অভিমানী নাকি কোণঠাসা ছিলেন আবদুল্লাহ আল নোমান ?

চট্টগ্রামের বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের নাম আবদুল্লাহ আল নোমান। মঙ্গলবার সকালে বিএনপির ভাইস

যেই পরিস্থিতিতে ২০১২ সালে নয়া পণ্টন বিএনপি অফিসে থাকা শুরু করেন রিজভী আহমেদ

দ্য পলিটিশিয়ান ।। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ