জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের গুঞ্জন, নেতৃত্ব সংকটে লিবারেল পার্টি?

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:০৬ অপরাহ্ণ
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:০৬ অপরাহ্ণ

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে ঘিরে নতুন এক গুঞ্জন ঘুরপাক খাচ্ছে। আসন্ন অক্টোবরের ফেডারেল নির্বাচন সামনে রেখে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করছেন তিনি—এমন দাবি উঠেছে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।

জরিপের ফলাফল এবং নেতৃত্বের প্রশ্ন
৫৩ বছর বয়সী ট্রুডোর নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি সাম্প্রতিক জরিপগুলোতে বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির কাছে উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে তার পদত্যাগের খবর লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব নিয়ে সংকট তৈরির আশঙ্কা জাগিয়েছে।

প্রথমে কানাডিয়ান সংবাদমাধ্যম দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল গত সপ্তাহে জানায়, লিবারেল পার্টির প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করছেন ট্রুডো। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার দলের আইনপ্রণেতাদের জরুরি বৈঠকের আগেই ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা দিতে পারেন।

তবে কবে নাগাদ এ ঘোষণা আসতে পারে বা তিনি নির্বাচনের আগেই সরে দাঁড়াবেন কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সূত্রগুলো জানিয়েছে, লিবারেল পার্টি নতুন নেতা নির্বাচনের প্রস্তুতি না নেওয়া পর্যন্ত ট্রুডো আরও কিছুদিন দায়িত্বে থাকতে পারেন।

দলীয় চাপ এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
ট্রুডোর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, দলীয় নেতাদের চাপে তিনি হয়তো আর প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকতে চাইছেন না। তবে এখন পর্যন্ত তিনি কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি।

এ বিষয়ে ট্রুডোর দপ্তর থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য আসেনি।

লিবারেল পার্টির ভবিষ্যৎ
জাস্টিন ট্রুডো ২০১৫ সালে লিবারেল পার্টিকে ক্ষমতায় এনে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেন। দুই মেয়াদের শাসনকাল তার নেতৃত্বের শক্তি প্রদর্শন করলেও সাম্প্রতিক সময়ে সমর্থনের ঘাটতি তার দলের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার পদত্যাগের খবর সত্য হলে নির্বাচনের আগে লিবারেল পার্টি বড় ধরনের নেতৃত্ব সংকটে পড়তে পারে।

আগামী দিনগুলোতে ট্রুডোর ভবিষ্যৎ এবং লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব নিয়ে নতুন দিকনির্দেশনা আসতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।