স্বৈরাচার বিরোধী কণ্ঠযোদ্ধারা ঠাঁই পেলেন পাঠ্যবইয়ে

প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৫৫ অপরাহ্ণ
প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৫৫ অপরাহ্ণ

ডেস্ক:

স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার উত্তাল আন্দোলনের সময়, যখন দেশের বেশিরভাগ সংগীতশিল্পী নিরব ভূমিকা পালন করছিলেন, তখনই দুই তরুণ র‌্যাপার হান্নান হোসাইন শিমুল এবং মোহাম্মদ সেজান হয়ে ওঠেন প্রতিবাদের শক্তিশালী কণ্ঠস্বর। তাঁদের র‌্যাপ গানগুলো এক নতুন প্রজন্মের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়, যা এখন সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইতেও স্থান পেয়েছে।

সেজানের ‘কথা ক’ এবং হান্নানের ‘আওয়াজ উঠা’ গান দুটি শুধু সংগীত ছিল না, তা ছিল এক সামাজিক বিপ্লব। এই গানগুলো ২০২৪ সালের “জুলাই বিদ্রোহে” আন্দোলনকারীদের সাহস জুগিয়েছিল। পাঠ্যবইতে বলা হয়েছে, “আপনি কি সেজানের ‘কথা ক’ গানটি শুনেছেন? আগের প্রজন্ম গানকে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে ব্যবহার করতে ভয় পেলেও সেজান ও হান্নানের মতো শিল্পীরা সে সাহস দেখিয়েছেন।”

নারায়ণগঞ্জের র‌্যাপার হান্নানের ‘আওয়াজ উঠা’ গানটি ছিল হৃদয়বিদারক শব্দের সংমিশ্রণ, যা শাসকের রক্তচক্ষুর বিরুদ্ধে ট্রিগার হিসেবে কাজ করে। গানটি প্রকাশের মাত্র এক সপ্তাহ পর, ২৫ জুলাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১২ দিনের কারাবাস শেষে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি মুক্তি পান।

অন্যদিকে, সেজানের ‘কথা ক’ গানটি ১৬ জুলাই প্রকাশের পরপরই আন্দোলনের মূলমন্ত্র হয়ে ওঠে। নতুন প্রজন্মকে ভয়হীন ও প্রতিবাদী করে তুলতে এই গানগুলো অনন্য ভূমিকা রেখেছে।

আজ তাদের সৃষ্টিকর্ম শুধু সংগীত জগতে নয়, দেশের ইতিহাসে এক সাহসী অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। পাঠ্যবইয়ে তাদের স্থান পাওয়া নতুন প্রজন্মকে শিক্ষা দিচ্ছে, যে সংগীত শুধু বিনোদন নয়, এটি হতে পারে বিপ্লবের ভাষাও।